1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞান চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • Update Time : শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
  • ১৮৮ Time View

জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম): চলমান পরিস্থিতিতে সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার দ্বি-মুখী আচরণ করছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, অটোপাস আর প্রমোশন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাবে। জ্ঞান অর্জনের ধারায় কোনো শর্টকাট পদ্ধতি নেই। সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা আমাদের মূর্খ জাতিতে পরিণত করবে। দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

শনিবার ( ১৯ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, দেশে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিংমল সবই খোলা আছে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? প্রকৃত অর্থে সরকারের মধ্যে থাকা বৈষম্যের নীতিই এর মূল কারন। সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশের সন্তান বিদেশে থাকে। যাদের পরিবার-পরিজনের কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সমস্যা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। এদের প্রতি তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তবে কি আজীবন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে প্রশ্ন করে ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে একটানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা ছাড়া বন্দি জীবনযাপন করছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ছে, বাল্য বিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অনেকে মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে, মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অনেক কিশোরী টিকটকের মতো অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে নারী ও শিশু পাচারকারীদের বিভিন্ন প্রলোভনে বিদেশে পাচারের শিকার হচ্ছে।

তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞান চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে আগামী প্রজন্ম। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনাকালে গত ১৫ মাসে ১৫১ জন শিক্ষার্থী মানসিক অবসাদগস্খস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। তাই, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাত্র ও শিক্ষকদের করোনার টিকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে।

নেতৃদ্বয় দীর্ঘদিন টানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে, বাল্যবিবাহ বেড়েছে, মাদকাসক্ত ও কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। বহু শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হতেও ঝরে পড়ছে।

যেহেতু ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’ তাই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের আগেই ছুটি না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং পাবজি, ফ্রি ফায়ার, টিকটিকসহ অশ্লীল সাইট বন্ধের জন্য আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..